বেড়াতে গিয়ে মজারু ২০
অজন্তা , ইলোরার ঘোরার পাট চুকিয়ে , পরের ভোরে ঔরঙ্গাবাদ থেকে পুনে গামী বাসে রওনা দিলাম। তখন পুনা আর পুনে এই দুই নামের মাঝে ওই স্থান ঝুলছে বা দুলছে । পুরাতন নাম তল্পি গোটায়নি আর নতুন নামও শিকড় গাড়েনি । রওনা দিলাম । কাচ ফিক্সড করা শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বাস , সাথে সিনেমা দেখার সুব্যবস্থা যুক্ত । কিন্তু ওই ব্যবস্থা আমার ক্ষেত্রে সু থাকল না , কু এ পর্যবসিত হল । সেই থেকেই জানলাম চলমান বাস বা গাড়িতে আমার এসব দেখা চলবে না । এখনও ট্রেন ছাড়া অন্যত্র ( যানবাহন) মোবাইল দর্শন মানা হ্যায় । যদি সিগন্যাল দেখে ফোনে মন দিয়ে ফেলি , তৎক্ষণাৎ লোকাল গার্জেন গর্জন করেন । আমিও সমঝে যাই ।
তো এক ভয়ানক সিনেমা চলছিল, ওয়েলকাম । বাপ রে ওয়েলকামের ধরণেই কিনা জানি না , খানিক দেখেই শরীর গোলমাল ( ওই সিনেমা হজম করা সহজ নয় ), ফলে চোখ বুজেই পুনে ওবধি কাটিয়ে দিলাম।
কিন্তু আমার কর্তা মশাই এর এক কথা জীবনের হাজারো ঝামেলা , তাই সাধ করে জীবন মুখী সিনেমার গভীর বিষয় কেন দেখব ??? তাই তার মন পসন্দ সিনেমা সে মন দিয়ে মজা নিয়েই দেখা শেষ করল । এ দিকে পুনেও গুনে গুনে সময় মতন চলে এল । আমার গা গোলানো তখন অনেকটাই কমের দিকে । সম্ভবত বেলা ১১ টার একটু পরেই পুনেতে নামলাম। লটবহর আমার জিম্মা করে তিনি গেলেন মহাবালেশ্বরের জন্য গাড়ি ভাড়া করতে আর মুম্বাই নিবসী তার এক বন্ধুকে কল করতে ।কারণ মুম্বাই পৌঁছে নবী মুম্বাইতে তারই ডেরায় আমাদের ওখানকার সাকিন নির্দিষ্ট, আগে থেকেই। সেদিন শনিবারের বারবেলা , আমাদের সাথে কথা বলেই সে বাজারের পথ ধরবে । আমরা যাবো কিনা !!! আর গিয়ে কতো ঘুরবো ... তার জন্য ভাল করে বাঙালি খাবার খেয়ে দেয়ে নিজেদের শক্ত পোক্ত করতে হবে তো !!! বাইরে এ কদিন বাঙালি খাবার তো মেলেনি , উল্টে ঔরঙ্গাবাদে হোটেলে অদ্ভুত স্বাদের একটা কেমন কেমন চাইনিজ ফ্রায়েড রাইস খেয়েছিলাম । আসলে বাঙালি চাইনিজ খেয়ে অভ্যস্ত জিভ , মারাঠি চাইনিজ সহ্য কেন করবে , সেটা নয় উহ্যই থাক ।
গাড়ি ঠিক করা নিয়ে গোল বাঁধলেও, শেষ পর্যন্ত মধুরেণ সমাপয়েৎ এর মতন গাড়ি আমাদের নিয়ে গতি বাড়িয়ে গড়গড়িয়ে মহাবালেশ্বরের পথে রওনা দিল । গাড়িতে উঠে খোলা জানলার নির্মল বাতাসে হাপ ছেড়ে বাঁচলাম । আগের বাস জার্নির সময় তেমন কিছুই খাওয়ার সুযোগ হয়নি , শরীর গোলমালের দরুন। বিস্কুট খেয়েছিলাম বোধহয় তেনার তাড়নায় । এবার খিদে খিদে ভাব জেগে উঠল , আমরাও ড্রাইভার দাদার recommendation এ এক জায়গায় পাত পেড়ে খেয়ে নিলাম। আর খিদের মুখে কি বাঙালি কি মারাঠি সবই অমৃত । কাজে কাজেই খাবার নিয়ে তুলনামূলক আলোচনা তোলা থাকল তখনকার মতন । আবার চলতে চলতে... বরং বলা যায় ভাত ঘুম দিতে দিতে দুজনেই পাহাড়ি পথ ধরে ফেললাম। হ্যাঁ তো , মহাবালেশ্বর তো পাহাড়েই । আর পাহাড়ের প্রতি আমাদের দুজনেরই আকর্ষণ আর প্রেম ভয়ানক রকম বেশি । এক সময় ঘুম ভাঙার পর "ও সাথি চল তু...." গানের কলি মনে আনা গোনা করতে লাগল ... এ পথেই তো এক সময়ের অসংখ্য বলিউডের তারকাদের নাচা গানার আদর্শ স্থান ছিল বলে শুনেছি । এক সময় পাহাড়ি পথের বাঁকে গন্তব্য দৃশ্যমান হল , আরো কিছু পথ পেরিয়ে একটা চার্চের পাশ কাটিয়ে M.T.D.C এর হোটেলে পৌঁছলাম। তখন সন্ধ্যার আঁধার নামছে । এখানেও গাছ গাছালি পরিবেষ্টিত বিশাল এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে কটেজ আর ডাইনিং হল অন্য পাশে । পাশাপাশি আলাদা আলাদা ছোট্ট কটেজের একটাতে আমাদের স্হান হল । এখানেও আগাম মোমবাতি ধরিয়ে দিল হোটেলের রুম সার্ভিসের মধ্য বয়স্ক কর্মীটি । হাল্কা ঠাণ্ডার আমেজে মন মেজাজ তখন বেজায় খুশ্ । মোমবাতি , খাবার জলের ব্যবস্থা সব সম্পন্ন করে যাওয়ার আগে ওই কর্মী ঘরের সামনের লাগোয়া বারান্দায় কিছু না রাখার কথা বলে গেলেন । কিছু বলতে কাপড় জামা , জুতো ইত্যাদি । বাঙালি ঘরনী আর ধোপানীর খুব পার্থক্য নেই কো !!! আমি ট্রেনেও ছোটখাট তোয়ালে , গামছা শুকতে দিতে দেখেছি আর তা থেকে শিক্ষিত হয়েছি , এক দুবার .... । মোদ্দা কথা হল যে এখানেও বাঁদর । পরের দিন সক্কাল সক্কাল আমরা দুই মক্কেল নিজেদের বারান্দার চেয়ারে ফিট করে সকালের তাজা ভাবটা নিজেদের ভিতর ভর্তি করতে করতে এক খুদে বাঁদরের বাঁদরামি দেখছিলাম। মজাও লাগছিল।
তো সেদিন সন্ধ্যার দিকে হাঁটি হাঁটি করে একটু আশে পাশের সাথে পরিচিত হতে গেলাম। প্রাণকেন্দ্রে পৌঁছে আমি চনমনে আর সে মিনমিনে হয়ে গেল । কেন বলো তো ? ঠিক ধরেছ মার্কেট প্লেসে হাজির হয়েছিলাম যে !!! কোন দিকের বিপদ কে জানে ? আমার পরিচিত মহলের জন্য টুকটুক কিছু কিনে থাকি প্রতিবারই , সেই টোকেন খোঁজাখুঁজির ফাঁকে ফ্রুট জুস খাওয়া হল , স্ট্রবেরী জুস । ওদিককারই ফল , পরের দিন স্ট্রবেরী ফার্মেও গিয়েছিলাম। এদিক ওদিক ঘোরাফেরার পর , পরের দিনের ঘুরপাক খাওয়ার গাড়ি ঠিক করতে ওখানকার অনেক ট্রাভেল এজেন্সির মধ্যে একটা অফিসে কপাল ঠুকে ঢুকে পড়লাম। পর পর অনেক এজেন্সি থাকলে , অপরিচিত শহরে কে আর সঠিক পথের দিশা দেবে ? তবে টুরিস্ট স্পট গুলোতে সাধারণত এলোমেলো ঘটনা কম ঘটে । তিনি দস্তুর মতন সব যাচাই করতে শুরু করলেন । আমি এদিক ওদিক দেখে , ওখানকার এক স্লীপার কোচের ছবি দেখে যারপরনাই মুগ্ধ হলাম। পথে এমন বিজ্ঞাপিত ছবি আরো কটি এজেন্সির সামনে দেখলেও মরমে পশেনি , এবার আমার এক নতুন ইচ্ছে মনে ডানা মেলল .... আমাদের প্ল্যান অনুযায়ী দুই রাত মহাবালেশ্বরে কাটিয়ে , তৃতীয় দিনের দিন ভোরে বা সকালে মুম্বাই এর উদ্দেশ্যে পাড়ি দেবো ,আর সাগ্নিকের বাড়ি দুপুর দুপুর পৌঁছে যাব । কিন্তু ... কর্তা মশাই কে একটু অন্যরকম ভাবে বোঝাতে হবে , তো যে পথ সোজা সেটাই পাকড়াও করলাম...ভাড়া গাড়ি আর বাসের (তা সে হোক না শীততাপ নিয়ন্ত্রিত) ভাড়ার বিস্তর ফারাক । তবে ?? আর একটা রাত হোটেলের বদলে নয় , স্লীপার কোচেই কাটুক। ভোর ভোর বন্ধুর বাড়ি পৌঁছে যাওয়া যাবে । চিড়ে ভিজল এক কথায় , পরের দিন ও রাতের দু ধরনের বাহনের আগাম বুকিং করে , বুক ভরা খুশি নিয়ে হোটেলে ফিরলাম। কিন্তু মুশকিল কি জানো ? ও পক্ষও আমাকে হাঁড়ে হাঁড়ে চেনে 🤔। ফেরার পরে একগাল হেসে বললে ... " আমার টাকা save করলে , নাকি ওই বাসে চড়ার শখ চাগাড় দিয়েছে ?" .... যাহ্ পুরো জল ঢেলে দিল । এই করে জানো তো ; যা ভাবি ঠিক ধরে ফেলে !! আর কি ; ধরা পড়ে , ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টায় ইতি টেনে আমিও হেসেই দিলাম... কি আর করি !!! রাতে খেতে গিয়ে শুনি ওখানকার রান্না ঘরে একজন বাঙালি কুক আছে , বাঙালি টুরিস্টের কৌলিন্যই আলাদা , তাই সে কথা মাথায় রেখে পশ্চিম বাংলার রতন , পশ্চিমে পাড়ি জমিয়ে , ওখানকার রান্নার দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছে । তাকে ডাকা হলো , ফরমায়েশ মতন যখন খাবার পরিবেশিত হল , বুঝলাম এ রতন আর সে রতন নেই । পরোটা ও মাংসের ঝোলের বদলে কুলচা আর এক চিড়বিড়ে ঝাল চিকেন খেয়ে তখন দুজনেই বুঝতেই পারছিলাম ... নয়ন সরসী কেন ভরেছে জলে ? কিন্তু গাওয়ার অবস্হায় ছিলাম না কেউই । আমার কর্তার গানের দৌড়োদৌড়ি মেঘের কোলে ওবধি । তবে গান শুনতে ভালবাসে আর কোন জমায়েতে গেলেই লজ্জিত মুখে বলে ফেলেন ... জানো তো/ জানিস তো শিল্পী( আমি ) গান জানে । এবার তাদের শুনতে হয়ই , না চাইলেও 🤫 কারণ অনিচ্ছুক বুঝে যদি চেপে যাই , সে চেপে ধরবেই ... কই শুরু করো !!! বোঝো একবার ; আমি আগাপাসতলা বুঝেও এই শ্রোতার উৎসাহের স্রোত থামাতে অপারগ 🙄
তো যাইহোক পরের দিন জলদি সাজুগুজু করে জলদি বেরিয়ে পড়লাম। রোদে ভাজা হবার আগে আগেই ।যা যা দেখার দেখতে দেখতে চললাম। পাহাড়ের কয়েকটা কমন ভিউ পয়েন্ট দেখার সাথে সাথে , মন্দির ( পঞ্চগঙ্গা মন্দির ) , লেক , বোটিং আর না না ধরনের মার্জিত রোমান্টিক ছবিও তোলা হলো ড্রাইভার দাদার সৌজন্যে । পাশাপাশি দাঁড়িয়ে, বসে , পদপ্রান্তে বসে ( আমি) ছবি তোলার পর , খাওয়ার পর্ব চুকিয়ে স্ট্রবেরী ফার্ম দর্শন করে , ঐতিহাসিক প্রতাপগড় ফোর্টের ইতিহাস প্রত্যক্ষ করলাম। ফোর্টের চূড়ান্ত উঁচু স্হানে ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের ঘোড়ায় বসা একখান চির পরিচিত মূর্তি দেখে , এবার ফেরার পথ ধরলাম। মন্দিরের একটা বিষয় মনে আছে , বেশ কয়েকটি নদীর জল সরাসরি মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করে দুটি পৃথক জলাধারে মিশেছে ।প্রতিটা নদীর নাম লেখা নল , যা পাথরের তৈরি গো-মুখের সাদৃশ্য যুক্ত , তা দিয়েই পঞ্চ নদীর জলের জলাধারে প্রবেশ । বেশ অভিনব লেগেছিল বিষয়টা । পাঁচটি নদী সম্ভবত কৃষ্ণা , কোয়েনা , ভেন্না , গায়েত্রী ও সাবিত্রী আর ধর্মীয় মতে ওই জল আমাদের গঙ্গা জলের মতনই পবিত্র বলে বিবেচ্য। ওদিকে তো গঙ্গা নেই । সম্ভবত দুই জলাধারের একটির জল পানীয় হিসাবে ব্যবহৃত হয় আর অন্যটি মন্দিরের দর্শনার্থীদের হাত , পা ধোয়া জন্য ব্যবহৃত হয় ।
সব দেখা দেখির পর ফিরতে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামল , ফিরে বিশ্রাম, নৈশ আহারের পরেই ইচ্ছাপূরণ ট্রিপ । সে বাস ছাড়ল রাত ৯ টার সময় । খানিক আগেই সেখানে পৌঁছে , মাল পত্তর বাসের পেটে ভরে বাসে উঠে পড়লাম। উঠেই আমি মুগ্ধ !!! করিডোরের দুপাশে জোড়া বার্থ আপার আর লোয়ার । সমস্ত বার্থে দুখান বালিস , দুখান ব্ল্যাঙ্কেট , আলোর ব্যবস্থা , চার্জ দেওয়ার পয়েন্ট আর সবটাই হাল্কা ঘিয়ে রঙের পর্দার ঘেরাটোপে বন্দী । আহা !! কি রোমান্টিক পরিবেশ । ভাগ্যিস ইচ্ছে জেগেছিল ; নিজেই নিজের পিঠ চাপড়ে নিলাম মনে মনে । কিন্তু এ কি আমার এমন রোমান্টিক কর্তা মশাই এমন চিন্তিত কেন ? মুখে তার হাসি নাই দেখলাম । কি হলো ??? আমাদের রাজ্যের পাহাড়ি পথে রাতে গাড়ি চলাচলের বিধিনিষেধ ( কম চলে ) থাকলেও ওদিকের বন্দোবস্ত ভিন্ন আর তাতেই আমার চিন্তামণি চিন্তিত হয়েছেন , সে পরে বুঝেছিলাম। নাহ্ ওমন রোমান্টিক অ্যামবিয়েন্স মাঠে থুড়ি পাহাড়ি পথেই মারা পড়ল । আমি আবার মনের দুঃখ আর চিন্তা সইতে পারিনা , ঘুমিয়ে পড়ে মনকে রেহাই দিই , অগত্যা ঘুম দিলাম। তিনিও জাগন্ত হয়ে পাশে শুলেন , পরে যে ঘুমালেন তা বুঝলাম নামার আগের কন্ডাক্টারের জায়গার নামের অ্যানাউন্সমেন্টে !!! আসলে হয়েছিল কি ... আমাদের নামতে হবে নবী মুম্বাই এর খারগারে , সেই মত কথা ছিল কন্ডাক্টর আমাদের একটু আগে পানভেলে ঘুম থেকে তুলে দিলেই , কর্তা মশাই বন্ধুকে ফোন করে দেবে আর আমরা যথাস্থানে নামার পর , সে তার বাহন চালিয়ে এসে তার ডেরায় নিয়ে যাবে । কিন্তু .... পানভেলে আমরা সবাই ঘুমন্ত মায় কন্ডাক্টরও , ঘুম ভেঙে দু স্টপ পেরিয়ে খারগার আসতে দেখে সে হৈ চৈ রবে খারগারের নাম ঘোষণা করল ... ধড়মড়িয়ে দুজন উঠে পড়ে নামার তাড়নায় , সে বাছাধনকে আর আগে না ডাকার জন্য বকুনি দেওয়ার সুযোগ পেলাম না। খারগার বাসস্টপ পেরিয়ে গিয়ে একটু অন্ধকার রাস্তার ওপর রাত ৩টে ৩০ মিনেটে আমাদের লটবহর সহ নামিয়ে শূনশান পথে বাস হুস্ করে বেরিয়ে গেল ।
কর্তা মশাই চটপট রাস্তার আরো ধারে আমাকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে বন্ধুকে ফোন লাগাল , ওই অন্ধকার ভাল লাগছিল না , আলোর দিকে আসলেই বকুনি দিয়ে আঁধারে মশার জিম্মায় থাকতে বলছিল । বললাম... মশা তো তুলে নিয়ে যাবে এবার ?? রাগত উত্তর এলো ... "তুলুক , অন্য কেউ না তুললেই হলো ।" এবার আলো আঁধারির কার্যকারণ ধরতে পারলাম , কেঁপে উঠলাম... সত্যিই তো , এ তো ভাবিনি !! ওই সময়টা তো বিপদজনক আর মুম্বাই-পুনে হাইওয়ে দিয়ে চার চাকার ছোট বড় গাড়ি তো বেরিয়ে যাচ্ছে অনবরত । বয়স কম , সাথে জাঁদরেল সাথি , বেড়ানোর রোমাঞ্চকর আনন্দে বাস্তবকে ভুলে মেরে দিয়েছি যে , দিনকালের হালচাল তো ভাল নয় । ভয় ভয় করতে লাগল । এমন পরিস্থিতিতে সময় যেন কাটতেই চায় না । ওর বন্ধু দুই রিঙেই ফোন ধরে , নেমে গেছি শুনেই আর দেরি করেনি , ২০ মিনিটের মধ্যেই চলে এল ... মনের ঝাল মেটানোর আগেই লটবহর আর আমাদের তুলে নিয়ে রওনা দিল ওর বাসস্থানের দিকে । প্রথমেই আমাদের বেআক্কেলে সময়ে আসার জন্য বেছে বেছে শব্দ প্রয়োগ শুরু হলো ...আর তারপরেই কটাক্ষ লটবহরের সংখ্যাধিক্যের জন্য, কিন্তু তোমরাই বলো কন্ডাক্টর যদি আমাদের আগাম না ডাকে আমরাই বা কি করব ??? যাক ... চিন্তার কারণেই বাক্যবাণ, যা ভালবাসার আরেক নাম ... সোহাগ করে যে , সে তো শাসন করতেই পারে , তাই না ???
এবার ভোরের অপেক্ষা আর মুম্বাই বেড়ু ....
@শুচিস্মিতাভদ্র
No comments:
Post a Comment