বেড়াতে গিয়ে মজারু ২২
প্রথম দিনের ঘটনার ঘনঘটা পেরিয়ে আমাদের মুম্বাই বেড়ু পরের দিনে পড়ল । আগের দিনের ঘটনার দরুণ আমরা এ দিন অতি সচেতন হয়ে রওনা দিলাম। কোথায় ?? আরে !!! বলিনি বুঝি ??? হ্যাঁ , তাই তো ; আগেই বলেছিলাম যে ওই চত্বরে দুই বান্ধবী বাসা বেঁধেছে বৈবাহিক সূত্র ধরে । এক বন্ধুর সাথে মোলাকাত তো ভালোই হলো , এবার পালা অন্যজনের । সে তখন থাকত , একটু দূরে থানেতে । মুম্বাই পৌঁছে আগের সকালে ওর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা প্রথমে ব্যর্থ হতেই , ঘরের উক্ত দুই বন্ধু যুক্তি করে , যুক্ত হয়ে আমাকে উত্যক্ত করতে লাগল .... " বন্ধু ফোন ধরছে না , তোমায় চায় না "... ইত্যাদি প্রভৃতি বলে । কি করি ?? এ সব ভেবে আকুল হয়ে বান্ধবীর দেওয়া অন্য একটা নম্বরে ফোন করতেই ঘরের বন্ধুদের মুখে আপাতত তালা পড়ল । কারণ আমার বান্ধবী ফোন ধরল তো বটেই, সাথে সাথে তার উচ্ছ্বসিত কন্ঠস্বরে আমার সব আশঙ্কার অবসান হল । কর্তা মশাইকে ডেকে , ফোনেই সে জানালো সাদর আমন্ত্রণ। তার কন্যা তখন ছোট্ট, নিজের নানা রকম শারীরিক অসুস্থতার জন্য দেখা করতে আসা সম্ভব যে নয় , সে কথা সে আমার কর্তার কাছে পেশ করল। তারপরের গল্প খুবই জলবৎ তরলং । আগেই বলেছি যে এবার আমরা খুব সাবধানী। প্রথমে বাসে করে স্টেশন, তারপর নির্ধারিত ট্রেনের টিকিট কেটে দুবার ট্রেন বদল করে আর তারপর ট্যাক্সি চেপে বান্ধবীর অ্যাপার্টমেন্টে হাজির হলাম। সারাদিন চলল , খাই দাই , গল্পের মজলিস , আর পুকচুটাকে অনেক আদর করার পালা। কাকিমা , মানে বান্ধবীর মা তখন ওখানেই ছিলেন , ওনার হাতের অনবদ্য মেথি চিকেন পেট পুরে খেয়ে , রেসিপি শিখে এবার ফেরার পালা । ফিরতি পথে ওর কর্তা মশাই আমাদের স্টেশনে নামিয়ে দিতেই , তার কথা মত আমরা ফিরতি ট্রেনের টিকিট কাটলাম ফার্স্ট ক্লাসের । হ্যাঁ , ওখানে ট্রেনের ক্লাসের ভিন্নতা বজায় আছে । দুই ক্লাসের দামের মধ্যে বিস্তর ফারাক , তা ভিড় মুক্ত রেখেছে প্রথম ক্লাসকে। এই তথ্য জানা থাকলে প্রথম দিনের বিভীষিকার হাত থেকে রেহাই মিলত । তবে সেদিন থানে যাওয়ার সময় স্রোতের ভিন্ন দিকে যাওয়ার দরুণ , ভিড়ের ভীতি চাপেনি আমাদের ওপর । তাই দিনটা ভালোভাবেই কাটিয়ে ফিরলাম ।
পরের দিন সাগ্নিকের ঠিক করা ভাড়া গাড়িতেই আমাদের মুম্বাই দর্শনের পালা চলল। একে একে কমলা নেহেরু পার্ক , আরো একখানি পার্ক ( নাম মনে নেই ) সমুদ্রের ভিতর হাজি আলি , চৌপাট্টি বীচ্ , মার্কেট প্লেস পেরিয়ে ঘুরপাক খেলাম । সাথে সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির এবং সমুদ্রের ধারে অবস্থিত মহালক্ষ্মী মন্দিরও বাদ গেলো না । সিদ্ধি বিনায়ক মন্দিরের সিকিউরিটি ব্যবস্থার কড়াকড়িতে ক্যামেরা , মোবাইল সবই ড্রাইভার দাদার কাছে গচ্ছিত রেখেই গিয়েছিলাম ।
মুম্বাই ঘুরতে যাচ্ছি ... সে কথা শুনে এখানে অনেকেই বলেছিল শাহরুখকে দেখতে পাবি .... বলে কি ?? পরে বুঝলাম, দেখলামও। অবাক হবার কিছুই নেই, সারা দেশেই এনাদের পথে পথে দেখতে পাওয়া যায় পোস্টারের দৌলতে । সে সব আলাদা করে বলার কি আছে বলো দেখি !!! যত্তোসব !!!
ঔরঙ্গাবাদের আমাদের one day trip এ আলাপ হওয়া এক দিদিভাই সেমি পৈঠানি শাড়ির খবর দিয়েছিলেন , দোকানের নাম সহ , দাদর্ ক্রস করার সময় চোখের সার্চ লাইট জ্বালিয়ে এক গোলপানা চৌরাস্তার মাথায় সেই দোকানের দর্শন মেলার পর , সেখানেও হানা দিয়ে আর একখান অন্য শাড়ি বাগিয়ে ঘরে ফিরলাম সন্ধ্যার দিকে , সেদিন মধ্যাহ্ন ভোজন পথেই হয়েছিল । দর্শনীয় স্থান কিছু কিছু দেখা না হলেও, সব মিলিয়ে এই বেড়ুতে এতোটাই মজা হয়েছিল , যা যা দেখা হয়নি , তার জন্য কোন খারাপ লাগা মনে দানা বাঁধেনি ।
ঘোরার শেষ দিকে এক অভিনব ট্রিপের ব্যবস্থা করে দিল সাগ্নিক । সেই ট্রিপ আরো জমে উঠল আমাদের প্রথম দিনের চারমূর্তির একত্রিত হবার পর। এর মধ্যেই একদিন রাতে ঠিক করা হল কাছেই গোয়াগামী পথে আলিবাগ পেরিয়ে , মুরুদ জঞ্জিরা ফোর্ট ও আলিবাগের মাঝামাঝি সমুদ্রের ধারে পড়বে তুলনামূলক ফাঁকা কাশিদ বীচ্ । সমুদ্রের হাতছানি সহ একটা দিন যাপনের মনোরম ঠিকানা । সকালে রওনা দিয়ে দিন শেষে ফেরা । ওখানে এক বেলার / একদিনের থাকা খাবার উপযুক্ত ব্যবস্থাও মজুত।
ফোনাফোনি করেই বার্তা এদিক ওদিক ছুটল , সেই মত যাওয়ার আগের রাতে বান্ধবীরা চলে এল সাগ্নিকের ডেরায় । একসাথে খাওয়া , গল্পের পর আবার আমরা ওরা দুই দল দুই ঘরে অনেক অনেক আড্ডার পাট মিটিয়ে ঘুম দিলাম, সকালে চটজলদি তৈরি হয়ে চারজন রওনা দিলাম সাগ্নিকের ঠিক করা গাড়িতে ।সেদিনও সাগ্নিকের অফিস । তবে সেদিন যেহেতু ছিল আমার জন্ম নেওয়ার তারিখ , সেই মত কথা হল ফিরে আমাদের সকলকে নিয়ে সাগ্নিক বেরবে । একেবারে ঠাসা কার্যাবলী ।
গান চলল , গাড়ি চলল , কিছু পরেই শহরের কংক্রিটের জঙ্গলের অদল বদল চোখে পড়তে শুরু করল , প্রকৃতি তার দরজা খুলতে শুরু করল । হাইওয়ের ধারে এক জায়গায় ডান হাতের কাজ ভালোই হল । ড্রাইভার দাদা কলার উঁচিয়ে ঘোষণা করলেন , এ পথের থেকেও গোয়ার প্রাকৃতিক দৃশ্য অনেক গুণ এগিয়ে । সত্যিই তাই , নানাজনের বর্ণনা আর ছবি দেখে তেমনই ধারনা হয়েছে । কবে যে যেতে পারব আর ধারনার বাস্তবায়িত রূপ দেখব ... কে জানে ?? আমাদের এই করোনাজনিত লক অ্যান্ড কি এর চক্করে সব বেড়ানোর দোর গোড়ায় সংশয় আর ভয়ের তালা পড়েছে । তাও আমরা নিজের মতন সাবধানতার কবজ এঁটে যাচ্ছি বটে , কিন্তু সেই আগের সতস্ফূর্ততা যে কবে ফিরবে ??
আগের কথায় ফিরি ... এক সময় আমাদের সাথি হল আরবীয় সমুদ্র । নিজেদের মধ্যে গল্পের থেকেও প্রকৃতি দর্শন হচ্ছিল বেশি । সাথে গাড়িতে চলছিল মন পসন্দ গানা । এক সময় পথ ফুরালো , আমরা আমাদের সেদিনকার দিনযাপনের ঠিক করা ঠিকানায় পৌঁছলাম। বাগান ঘেরা ছোট্ট দোতলার একতলায় অবস্থিত হোমস্টে । দুটোই ঘর , ঘর সংলগ্ন বাথরুম আর একখান বড় হল ঘর । আপাত দৃষ্টিতে বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। খুঁটিয়ে দেখার সময় আর তখন কার হাতে ?? সমুদ্র যে ডাক দিয়েছে কোন সকালে !!! সাথের ছোট ব্যাগ পত্তর ও মোবাইল ঘরে রেখে ( আমার অতি সাবধানী কর্তা মশাই মোবাইল সাথেই রাখলেন প্লাস্টিকের মোড়কে ) আমরা এবার চললাম। কোথায় বলো তো ?? ঠিক ধরেছ সাগর দার ডাকে সাড়া দিয়ে আমার গানে জীবন আনতে চললাম। সাগরের ডাক উপেক্ষা করে , তোমার ডাকে সাড়া দিতে বয়ৈ গেছে কি বলা যায় কখনো ??
এমন জনমানবহীন রোমান্টিক বীচ্ আমি বাপু আর দেখলাম না এখনও। দিনটা সপ্তাহের শেষ দিকে হলেও শেষ দিন ছিল না । কারণ যাই হোক , বীচে পৌঁছেই নজরে এল ওখানে শুধুই আমরা ৪ মূর্তি। আর সমুদা উদাত্ত ঢেউ এর দিকে একদম দামাল ভঙ্গিতে ছুট তারপরই এপাং ওপাং ঝপাং 🙃🙂 কিন্তু একি !!! সমুদা পাচন খাওয়া মুখ নিয়ে ঝপাং থেকে উঠে আসছে কেনো ?? সমুদ্দুরে কি কোনও ওত পাতা বিপদ বসে ? মুম্বাই পৌঁছে ইস্তক সময় গতিক বড়ই বেগতিক দিকে ঝুঁকে আছে ।
আমরা কাছে যেতেই রহস্য উন্মোচিত হল ... আসলে সমুদা যখন ঝপাং হল , উত্তেজনার বসে টাকার ব্যাগ সহ ডাইভ দিয়েছিল !! টাকার ভিগি ভিগি চেহারা একদমই দর্শনধারী নয় , আর তার গুণ তো বিচার করা যাবেই না যতক্ষণ না শুখা নোটের দেখা মিলছে । কিন্তু সমুদাকে আমরা একটু ক্ষণের মধ্যেই সাগরদার জিম্মা করে দিলাম তার অর্ধাঙ্গিনীর সাথে ,টাকার শোক তখন ঢেউ এর ঝোঁকে উধাও । ওদের বিয়ের পর ওটাই প্রথম outing ছিল , কাজেই ওরা ভেসে গেল প্রেমের জোয়ারে , ভাসাবো দোহারে style এ , আমরা কর্তা গিন্নি একটু পুরাতন বিবাহিত ( তখন বছর ৪) তাই বিজ্ঞের মতন একে অপরের সাথে দৃষ্টি বিনিময় করে হাসলাম। আমাদের মুশকিল হলো ... আমি পা ডোবার বেশি জলে যাই না , আমি কুমির ডাঙা খেলতে সেই ছোট্ট থেকেই ভালবাসি ঠিকই তবে কুমির হিসেবে নয় , তাই ডাঙা ডিঙোতে ভয় পাই বটে !!! এদিকে তিনি জলের ধারে গেলে নিজেকে ধরে রাখতে পারেন না , জলের মাঝে বেচারা (?) আমাকে পায় না । কিছুক্ষণ বাদে আমার বান্ধবী মর্তে মানে সাগরপারে আমাদের দিকে নজর ফিরিয়ে , কিঞ্চিত লাজুক লাজুক মুখে ফেরত এলেন , ওদিকের দাদার ডাকাডাকি উপেক্ষা করে । আমরা ওকে আশ্বস্ত করলেও তিনি সেন্টু মিশিয়ে যা বললেন, তাতে আমার সেন্টুও সেন্টপার্সেন্ট অন হয়ে গেল .... " ওর সাথে আরো বেড়াবো , তোকে কি আর এ ভাবে পাবো ?? "
ব্যাস্ , ক্লোজআপ নেওয়ার কেউ নেই কো সেথা , তবে আমার কর্তার মুখ ক্লোজ করা এসব ক্ষেত্রে অসম্ভব !!! যাক্ , মোটের ওপর এরপরের অঙ্কে ( mathematics নয় 🙏🏻) আমার কর্তা সমুদ্দুরে নোনতা জল খেতে ঝপাং হল আর কিছুক্ষণের মধ্যে দেখা গেল ওরা আর আমরা আলাদা টিম , যতই টিমটিম করুক । কিছু সময় পর আমার যা হয় আর কি , রোমান্টিক পরিবেশে গান পায় , আমার বান্ধবী আবার নাচের দিকের কেরামতি , কাজেই সাগর তীরে পুরো সাংস্কৃতিক মধ্যাহ্ন যাপন শুরু হল .... হঠাৎই নাচা গানার মাঝে বিভোর দুই কুশীলব দেখি ওই টিমের দুই শ্রোতা এবং দর্শকও স্রোত ঠেলে হাজির , পলিপ্যাক থেকে গামছা , তোয়ালের বন্ধন মুক্ত হয়ে ক্যামেরাও বেরিয়ে পড়েছে !!! দূরে দেখা যাচ্ছে মুরুদ জনজিরা ফোর্টের ধ্বংসাবশেষ ....সবটাই ভারি অপূর্ব । নাচ গান শেষে চারজন এগিয়ে পড়লাম... না রে ভাই , ফোর্ট অনেক দূরে ওদিক পানে পাড় ধরে হাঁটা শুরু করিনি , ওখানে এক দুদিন থাকলে হাল্কা চেষ্টা করা যেতো হয়তো বা , যেমন , একবার নিউ দীঘা থেকে সমুদ্রের পাড় ধরে আর হাতে হাত ধরে পাড়ি দিয়ে সামান্য দূরে পুরাতন দীঘায় হাজিরা দিয়েছিলাম .... এবার না হয় আর একটু বেশি হাঁটাহাঁটি করতে হতো !! কারণ এ ধরণের পুরাতন ফোর্ট দেখলেই কেমন দুব্বল হয়ে পড়ি আমি আর আমার মনে পড়ে যায় চিত্রহারে দেখা এক পুরাতন হিন্দী ছায়াছবির দৃশ্যায়ন, সাথে আমাদের কিশোর কুমারের বিখ্যাত গানের কলি .. " রাত কাল ই (?) এক্ খোয়াবো মে আই অউর গলে কা হার হুই ... 🎼 "
তো যা বলছিলাম দীঘা , পুরীর সমুদ্রে হুটোপুটির পর আপামর বাঙালি যা খোঁজে, আমরা সে পথই ধরলাম । এবং বলতে নেই খানিক এগিয়ে একটা ঝুপড়ি গোছের দোকানে ডাবের দর্শনও মিলল , ঝুপড়ির পাশে আবার দুই গাছে বাঁধা হ্যামকের দেখা মিলল । ফেলো কড়ি .... ধরো দড়ি ... মানে হ্যামকে দোল খাওয়ার ব্যবস্থাও আছে বটে । আমার এসব ইচ্ছে একদমই নেগেটিভ দিকে , কারণ পড়ে গেলে , একেই কোমরে চোট , যদি আবার পাকায় ঘোট ... তখন ? কিন্তু , বান্ধবীর ইচ্ছা মতন , সে একখান দোলায় দুলে বা ঝুলে যখন পাশে হাঁটু মুড়ে বসা সমুদার ছবি আমাদের ফটোগ্রাফার তুলেই ফেলল , আমার কর্তার ইচ্ছাপূরণ করতে আমাকেও এক পথে হাঁটতেই হল , কর্তা মশাই এর হাত খাঁমচে ধরে , অনেক কসরত করে ঝুলে পড়লাম । বাপ্ রে !! সে এক খান ছবি বটে , মুখে ভয়ার্ত হাসি প্রকাশিত । যাক এসব মিটিয়ে হোম স্টের দিকে ফিরতে গিয়ে আর এক কাণ্ড !! বেলা যত গড়িয়েছে রোদ তত ভাজা ভাজা করেছে পথ ঘাট , এদিকে যাওয়ার সময় একজন বাদে কেউই চটি পরে যাইনি । ফেরার পথে এবার কুমির ডাঙার বদলে কিতকিত খেলা কাজে লাগালাম দুই বান্ধবী। তা দেখে একজন ছুটে এসে জুতো খুলে দিল , আমরাও ওমন হিংসুটে নই , ভাগ যোগ করে দুজন এক এক পাটি চপ্পল পায়ে গলিয়ে , এক পা বাঁচিয়ে, দে ছুট্ । বাকি দুজনও আমাদের কোমল চরণে রোদ্দুর সয় না এ সব টিপ্পনী কাটতে কাটতে জোরে জোরে পা চালিয়ে ফিরল , কারণ চুপিচুপি বলি ওনাদের পদ যুগলেও তাপ এবার চাপ দিতে শুরু করেছিল ।
ফিরে এসে জলদি জলদি স্নানের পাঠ মিটিয়ে কব্জি ডুবিয়ে খেলাম , ওখানকার বাগানে চেয়ার টেবিল পেতে । গরম ভাত ,স্যালাড, ডাল আর হাল্কা দেশী মুরগীর ঝোল । আহা !! খিদের মুখে যেন অমৃত। এসব মিটতে মিটতে বিকেল হয়ে গেল , আর কিছু পরেই আমরা ফেরার পথ ধরলাম ।
যথা সময় আমরা ফিরলাম, ফিরে একটু পরেই গাড়িতে আমাদের নিয়ে সাগ্নিক কথা রাখতে চলল । নিয়ে গেল চেম্বুরে ওর পরিচিত এক তারকা খচিত রেস্টুরেন্টে । সেখানে খ্যাঁটন মিটিয়ে ফিরলাম বেশ রাত করেই । ফেরার পথে তখন সবারই মন ভার , কারণ আমাদের বেড়ুর সে দিনই শেষ রজনী । পরের দিনের ফিরতি ট্রেন জ্ঞানেশ্বরী ।
এরপরের অধ্যায় একদমই সংক্ষিপ্ত , পরের দিন এক প্রস্থ বান্ধবীর সাথে তার মাসির বাড়ি ঘুরে , বিকেলে বান্ধবীর সারপ্রাইজ গিফ্ট সহ সারপ্রাইজ আগমনের পালা মিটিয়ে , সময় মতন সাগ্নিকের বাহনে চেপে ফেরার পথ ধরলাম । অনেক গুলো দিন বাইরে কাটিয়ে মন তখন নিজের নিকেতন পানেই ফিরতে চাইছিল । অতএব মন চলো নিজ নিকেতনে গাইতে গাইতে ট্রেনে উঠে পড়লাম ... আবার পরের ঘোরার স্বপ্ন নিয়েই ফিরে এলাম ।
@শুচিস্মিতাভদ্র
No comments:
Post a Comment