Saturday, 21 June 2025

 কাজ, কাজ আর কাজ। বলা যায় কাজ সাগরে / মাঝারে ডুব দিয়েছি .....তবে অরূপরতনের আশা নিয়ে নয় একেবারে-ই । তবে কিছু অরূপরতন মিলেছে ... ওজন নামক অবাধ্য ব্যাপারটা বাধ্য হয়েই কিছু টা কমেছে অথবা আর বাড়ে নি , পুরোনো কিছু হারানো বিষয় আবার ভুস্ করে অনেক দিন পরে ভেসে উঠেছে । তবে নিশ্চিত সবাই, যে , আমরাও পারি । বিদেশে যারা প্রবাসী , তারা আগেই দেখিয়ে দিয়েছেন যে , তারা কি, না পারে একা হাতে !! আমরা তখন বলেছি যে , ওখানে সহজেই সব করার উপায় হাজির। এখন কিন্তু বলতেই পারি , আমরা কি না পারি !!! 

ঘরের সবাই এখন সকল কাজের কাজি আর বাঁধা বাঁধন ছাড়াই সব কাজে হাত লাগাই আমরা। নিরূপায়.... । কাজ আর অকাজ দিয়ে আতঙ্কিত মনকে যতটা চাপা দেওয়া যায় আর কি !!

"জগত জুড়ে ভয়ের মেলা, ভয় ভেঙে দাও প্রভু ".... এ এখন আমাদের সবার আকুতি। এই ভয়ের রাজ্যে আমার কর্তা এখনো ধীর , স্থির এক‌ই রকম , কি করে ?? জানা নেই। চুপিচুপি হয়তো বা অতোটা ধীর নয়। আমার ভয় ব্যাকুলতা যদি beyond control হয়ে যায় ,ওকে দেখে !!! এ হয়তো তার জন্য করা কড়া সংযম ।

 আমি সবকিছুর মাঝে নিজেকে ছড়িয়ে দিয়ে ভয়কে নিজের মধ্যে ঢুকতে দেবো না , এমনটা ভাবলে -ও টুক করে কিছু না কিছু খবর কানে সিধোচ্ছে আর এক‌ই সাথে হাত, পা পেটে সিধিয়ে যাচ্ছে। শুনবো না খবর বললে-ই হোলো ? কত শত খবর সরবরাহকারি আমাদের ঘিরে আছে না ?? 

ছোটদের স্কুল কর্তৃপক্ষ হৈ হৈ করে ওন লাইনের আইনে আমাদের আপামর বাবা মায়ের সবেধন নীলমণি দের আটক করার শমন জারী করেছেন। কেউ কেউ শুরু করে-ও দিয়েছে ওন-লাইন হাঙ্গামা। সেদিন শুনলাম আমার পরিচিত একজনের একরত্তি পুত্র(play school এর student সে )তার মায়ের কোলে গদিওমান হয়ে একঘন্টা ( নামেই) ওন-লাইন ক্লাস করছে (?) মাঝে মাঝেই কোল থেকে নেমে দে ছুট্। কি অত্যাচার বলো দেখি !! ও কি বা বোঝে ?

আমার কন্যার-ও শুরু হ‌ওয়ার ওমন শমন হাজির। খুব ই কমন সমস্যা। আমার নীলমণি বেশ আনন্দেই আছে, মাকে সব সময় কাছে পেয়ে সে আহ্লাদে ১৬ খানা হয়ে ঘুরছে ফিরছে, পড়াশোনা বোধহয় আবার সব স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরলে(?), নতুন দফায় শুরু করতে হবে। পড়ার কথা শুনতে পায়-ই না, পেলে কেমন যেন মুখ খানার ১৬ খান আহ্লাদ ফুড়ুৎ করে উড়ে যায় !! তবে খাওয়ার দিকে অল্প হলেও মন ঘুরেছে। অকাজের ( সবার নয় মোটেই )সময় নাকি খুব ক্ষিদে পায় ... এ শোনা কথার প্রমাণ মিলেছে এবারের পরিস্থিতি তে।সময়ের পরিবর্তনে আমর কন্যা বিশ্বাসী নয় একেবারেই... তাই বেশ সময় নিয়ে-ই খাচ্ছেন তবে কিছু কিছু পদ মনোযোগ দিয়ে, ভালোবেসেই খাচ্ছেন তিনি। 

 এদিকে বাড়িতে কাজের কাজির পারদর্শিতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কদিন আগেই মেশিনে বিছানা, বালিসের সরঞ্জাম কাচতে দিয়ে রাঁধতে গিয়েছি, মেশিন যখন কাজের সমাপ্তি ঘোষণা করলো সিটি বাজাকে , গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ !! মেশিন যে কাপড় ছাড়াও ইলেকট্রনিক জিনিসের সাফাই করে জানা ছিল না 🙄। দেখি ঝকঝকে চকচকে রিমোট কাপড়ের উপর শুয়ে আছে !!! হায় হায় !! কি হবে !!! সরাই হবে কি করে ?? অগত্যা তাকে সূজ্জি মামার জিম্মায় দিলাম , ব্যাটারি খুলে। দিব্যি চলছে। যাক্ বাবা !!! আমার কর্তা বলেছেন, কদিন দেখো , isolation এ রাখো , দেখো !!! ও সব কি কথা !! বালাই ষাট, সত্তর , আশি !!! ওসবে করোনা ধরে না । তাও কি জানো না ???


@ শুচিস্মিতা ভদ্র

No comments:

Post a Comment