বেড়াতে গিয়ে মজারু (১)
বেড়াতে গিয়ে কিছু না কিছু স্মরনীয় ও মজার ঘটনা সবার ই ঘটে , নতুন কিছু নয়। তবে সেই সব মজার রসদ পরবর্তী কালে গল্পের মজলিসে আলাদা মাত্রা এনে দেয়। বেড়াতে যাওয়ার একটা ভীতি আমার ছিলো , কিন্তু মায়ের মতই যে বেড়ানোর পোকা মনে ঘাপটি মেরে বসেছিল ... সেটা বুঝলাম অনেক পরে। আমার প্রথম পুরী ভ্রমণ বিয়ের পরে। ভুবনেশ্বরে স্টেশনে নেমে একটু ঘাবড়ে গিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া নতুন সাথীকে দীর্ঘ দিনের অভ্যাস বশে' মা ' সম্বোধনে ডেকে ফেলে .... এই রে !!!! বলে সামলে নিয়ে ছিলাম। সে যাত্রায় সে শুনতে পায়নি.... ভাগ্যিস !!!!
প্রথম যেবার মুর্শিদাবাদ গিয়েছিলাম ... এক দারুন অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হয়েছিলাম । সন্ধ্যায় হাওড়া থেকে ট্রেনে চেপে রওনা দিয়ে , রাত সাড়ে দশটা নাগাদ স্টেশনে নেমে বেশ রোমাঞ্চিত হলাম ... কারণ হোটেল মঞ্জুসা থেকে আমাদের নিতে এসেছে প্রদীপ মালাকার সাথে তার সঙ্গী ফূর্তি। একটু অবাক হচ্ছো তো !!! ফূর্তি আসলে মহিলা ঘোড়া । হ্যাঁ অনেকটা যেন সেই পুরনো বাংলা ছায়াছবি ' কুহেলি ' এর রায়কুঠির ডেরাইভার রতন । স্টেশনে নামলাম যখন , তখন অন্ধকার ... Power cut চলছে। কলকাতায় তখন গরম , কিন্তু মুর্শিদাবাদ এ তখন মার্চের প্রথম সপ্তাহে হাল্কা ঠাণ্ডা। আমরা এগিয়ে গেলাম আপাদমস্তক চাদর মুড়ি দেওয়া প্রদীপের সাথে , তার টাঙ্গার দিকে। একফোঁটা বাড়িয়ে বলছি না .... চাঁদের আলোয় বৈদ্যুতিক আলোর অনুপস্থিতিতে যেন নবাবী আমলে চলে গিয়েছিলাম। একটু ও ভয় নয়.... অদ্ভুত ভালোলাগায় মন ভরে গিয়েছিল আমাদের। একসময় হাজার দুয়ারী ও দৃশ্য পটে এলো... বিদ্যুৎ ও যেন আবার ফিরে এসে আমাদের ফিরিয়ে আনলো বর্তমানে। এই অভিজ্ঞতা চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছে।
মুর্শিদাবাদ এ এরপর আবারও গিয়েছি। সেবার সাথে আমাদের নতুন ভ্রমণ সঙ্গী , আমার কন্যা। সে তখন হাঁটতে শিখেছে। আর আরো এক বন্ধু দম্পতি । সকালে ট্রেন কলকাতা স্টেশন থেকে রওনা দিয়ে দুপুরে পৌঁছে... এবার ও টাঙ্গা করে হোটেল ' সাগ্নিক ' এর দিকে রওনা দিলাম। দিয়েই বিপত্তি। আমি কন্যা ও বান্ধবী সহ সামনে বসেছি আর আমাদের ব্যাগপত্র ও সামনে ও পিছনে রেখে দুই বন্ধু পিছনে গদিয়মান হয়ে সবে সত্য দা সিগারেট ধরিয়ে সুখটান দিতে গিয়ে ই অনুধাবন করল এবং আমরা ও দেখলাম ওজনের বহরে ঘোড়া বিদ্রোহী হয়ে হাত পা আকাশ পানে তুলে দিয়েছে.... ফলে পিছনের দুই আরোহী যাকে বলে পপাত ধরণী তলে.....সত্য দার অভিব্যক্তি দেখার মতো ছিল .... ধরণী পরে বসে আমাদের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন ... " এটা কি হলো ? " কি যে হলো !! তা কি ছাই না বুঝেছি ? কিন্তু তখন তো রাস্তায় লোক জড়ো, টাঙ্গা চালক লজ্জিত আর আমার বান্ধবী মঞ্জুশ্রী অনেক কষ্টে হাসি চেপে ....আহা রে , পড়ে গেলে !!!"...বলার চেষ্টা করছে।আমি ওসব চেষ্টা না করে ভয়ানক হাসছি আর একজন কটমট করে প্রায় ভষ্ম ই করে দিচ্ছে !!!
এমন আরো যে কতো কতো ঘটনায় ঝুলি ভরে ওঠে .... বলে শেষ করা যায় না.... আজ এ ওবধি ই নয় থাক। আবার কখনো ঝুলি থেকে ম্যাও কে বের করবো।
@ শুচিস্মিতা ভদ্র
বেড়াতে গিয়ে কিছু না কিছু স্মরনীয় ও মজার ঘটনা সবার ই ঘটে , নতুন কিছু নয়। তবে সেই সব মজার রসদ পরবর্তী কালে গল্পের মজলিসে আলাদা মাত্রা এনে দেয়। বেড়াতে যাওয়ার একটা ভীতি আমার ছিলো , কিন্তু মায়ের মতই যে বেড়ানোর পোকা মনে ঘাপটি মেরে বসেছিল ... সেটা বুঝলাম অনেক পরে। আমার প্রথম পুরী ভ্রমণ বিয়ের পরে। ভুবনেশ্বরে স্টেশনে নেমে একটু ঘাবড়ে গিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া নতুন সাথীকে দীর্ঘ দিনের অভ্যাস বশে' মা ' সম্বোধনে ডেকে ফেলে .... এই রে !!!! বলে সামলে নিয়ে ছিলাম। সে যাত্রায় সে শুনতে পায়নি.... ভাগ্যিস !!!!
প্রথম যেবার মুর্শিদাবাদ গিয়েছিলাম ... এক দারুন অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হয়েছিলাম । সন্ধ্যায় হাওড়া থেকে ট্রেনে চেপে রওনা দিয়ে , রাত সাড়ে দশটা নাগাদ স্টেশনে নেমে বেশ রোমাঞ্চিত হলাম ... কারণ হোটেল মঞ্জুসা থেকে আমাদের নিতে এসেছে প্রদীপ মালাকার সাথে তার সঙ্গী ফূর্তি। একটু অবাক হচ্ছো তো !!! ফূর্তি আসলে মহিলা ঘোড়া । হ্যাঁ অনেকটা যেন সেই পুরনো বাংলা ছায়াছবি ' কুহেলি ' এর রায়কুঠির ডেরাইভার রতন । স্টেশনে নামলাম যখন , তখন অন্ধকার ... Power cut চলছে। কলকাতায় তখন গরম , কিন্তু মুর্শিদাবাদ এ তখন মার্চের প্রথম সপ্তাহে হাল্কা ঠাণ্ডা। আমরা এগিয়ে গেলাম আপাদমস্তক চাদর মুড়ি দেওয়া প্রদীপের সাথে , তার টাঙ্গার দিকে। একফোঁটা বাড়িয়ে বলছি না .... চাঁদের আলোয় বৈদ্যুতিক আলোর অনুপস্থিতিতে যেন নবাবী আমলে চলে গিয়েছিলাম। একটু ও ভয় নয়.... অদ্ভুত ভালোলাগায় মন ভরে গিয়েছিল আমাদের। একসময় হাজার দুয়ারী ও দৃশ্য পটে এলো... বিদ্যুৎ ও যেন আবার ফিরে এসে আমাদের ফিরিয়ে আনলো বর্তমানে। এই অভিজ্ঞতা চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছে।
মুর্শিদাবাদ এ এরপর আবারও গিয়েছি। সেবার সাথে আমাদের নতুন ভ্রমণ সঙ্গী , আমার কন্যা। সে তখন হাঁটতে শিখেছে। আর আরো এক বন্ধু দম্পতি । সকালে ট্রেন কলকাতা স্টেশন থেকে রওনা দিয়ে দুপুরে পৌঁছে... এবার ও টাঙ্গা করে হোটেল ' সাগ্নিক ' এর দিকে রওনা দিলাম। দিয়েই বিপত্তি। আমি কন্যা ও বান্ধবী সহ সামনে বসেছি আর আমাদের ব্যাগপত্র ও সামনে ও পিছনে রেখে দুই বন্ধু পিছনে গদিয়মান হয়ে সবে সত্য দা সিগারেট ধরিয়ে সুখটান দিতে গিয়ে ই অনুধাবন করল এবং আমরা ও দেখলাম ওজনের বহরে ঘোড়া বিদ্রোহী হয়ে হাত পা আকাশ পানে তুলে দিয়েছে.... ফলে পিছনের দুই আরোহী যাকে বলে পপাত ধরণী তলে.....সত্য দার অভিব্যক্তি দেখার মতো ছিল .... ধরণী পরে বসে আমাদের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন ... " এটা কি হলো ? " কি যে হলো !! তা কি ছাই না বুঝেছি ? কিন্তু তখন তো রাস্তায় লোক জড়ো, টাঙ্গা চালক লজ্জিত আর আমার বান্ধবী মঞ্জুশ্রী অনেক কষ্টে হাসি চেপে ....আহা রে , পড়ে গেলে !!!"...বলার চেষ্টা করছে।আমি ওসব চেষ্টা না করে ভয়ানক হাসছি আর একজন কটমট করে প্রায় ভষ্ম ই করে দিচ্ছে !!!
এমন আরো যে কতো কতো ঘটনায় ঝুলি ভরে ওঠে .... বলে শেষ করা যায় না.... আজ এ ওবধি ই নয় থাক। আবার কখনো ঝুলি থেকে ম্যাও কে বের করবো।
@ শুচিস্মিতা ভদ্র
No comments:
Post a Comment