Friday, 14 February 2025

 বেড়াতে গিয়ে মজারু ৫৩ 

রাজগীর অর্থাৎ অতীতের রাজগৃহে আমরা হোটেলে পৌঁছলাম। শহরের জনবহুল এলাকাতে হোটেলের অবস্থান। হোটেলের ঘরে ঢুকেই গোলোযোগ চরমে উঠল। কারণ পাশাপাশি ঘরের একখানের সাজনগোজন বেশি তা নিয়ে ছোট দুজনের কাজিয়া। বলা ভাল আমার কন্যার মতামত চরমে। ওদিকের সিদ্ধার্থ তার স্বভাবসিদ্ধ ধারা মেনে মুখে মেঘ জমিয়ে ঠিক পাশের অল্প সাজানো ঘরে ফিরে গেল। ঘটনা খান চাক্ষুষ করে আমার মেজাজ সাই সাই করে উঠে গেল গরমে। মন ভেঙে খান খান হয়ে গেল !!! এ কি কথা বলো দেখি ??? একসাথে বেড়ানোর মানে কি শুধুমাত্র দর্শন। নেই কোন শিক্ষণ ??

আমরা একবার কুচে পুপেকে নিয়ে হাজির হয়েছিলাম আগ্রাতে, দুখান ঘরের একখান হোটেল মালিকের মুনাফা বাড়াতে দু দিকের সারবদ্ধ হোটেল রুমের মাঝের চৌকোনা হলের মাঝে অবস্থিত ছিল .... দেখলেই বোঝাই হয়ে বোঝা যায় পরে এ ঘরের সংযোজন, ফলে জানালা নেই কোনো। ছাদের কাছাকাছি একখান স্কাইলাইট ছিল কি ছিল না , আজ সময়ের তলে চাপা !!! তবে দিনমানেও আলো না জ্বালালে সে ঘরে ৩৬৫ দিনেই রাতের অবস্থান ঘাটি গেড়েছিল । সেই ঘরে আমাদের তিনজনের বিশেষ করে ছোট জনার হুটোপুটি করতে অসুবিধার কথা মাথায় রেখে , সত্য দা রা ঢুকতেই দেয়নি। যদিও বেড়ানোর কাণ্ডারি সুমিত দা এই ঘর খানা ই আমাদের জন্য না বুঝে বরাদ্দ করেছিলেন কলকাতাতে বসে ফোনাফুনির মারফত। এমন ছড়ানো দৃষ্টান্ত রয়েছে আমাদের ঘোরার পরতে পরতে , সেখানে এ কোন ধারায় বইছে আমাদের পুপে দেবী ??? বকুনির তোড়ে গাল ফুলিয়ে মালপত্তর এধার থেকে তুলে ওধারে নিতে না নিতেই ঝাঁপিয়ে পড়ে রূপা রুখে দিল আমাকে। আবার পুপেকে রেসকিউ করতে দল বেঁধে ওদিকের তিনজন হাজির .... অগত্যা আমি রণে ভঙ্গ দিলাম। চিন্তা কিন্তুক মনে থেকেই গেছে । কিছুই কি শেখাতে পারছি না ?? 

আমাদের প্রত্যেকের জীবন জুড়ে আছে গল্পের মেলা । হয়তো তা সাধারণ বা অসাধারণ , কিন্তু গল্প আছেই। আমার অনেক ছোট্ট কালের মাস খানেকের গল্প লেখা হয়েছিল এই রাজগীরে। মনের গুপ্ত কোণ থেকে আবছায়া হয়ে যাওয়া ছবিতে আছে একটা বাড়ির শুধুমাত্র দোতলায় ওঠার সিঁড়ি , যা উঠে এসেছে দোতলার ঝুল বারান্দায় , বারান্দার শেষ প্রান্তে অবস্থিত রান্নাঘরে রন্ধনরত আমার মা আর দিদিমা । আর আছেন আমার বাবা। তবে তার সাথে কাটানো গল্প যা স্মৃতির তল থেকে উদ্ধার করে বের করতে সক্ষম হলাম ... সেখানে রাজগীরের প্রধান দুই আকর্ষণ অদ্ভুত ভাবে জড়িত। সেখানে সেই দোলতা বাড়ির ঘরের কোন ছবি নেই। প্রথম আকর্ষণ অবশ্যই রাজগীরের তপ্ত পাণী বা উষ্ণ প্রস্রবণ। স্মৃতির বোতামে চাপ পড়লে ভেসে ওঠে আমার আর বাবার ওই প্রাকৃতিক গরমজলে অবগাহন দৃশ্য সাথে কোন এক প্রাণীর মুখাকৃতি বিশিষ্ট নল দিয়ে পড়া জলের দৃশ্য। ঠিক যেন চলচ্চিত্রের flashback !!! দ্বিতীয় আকর্ষণের কথায় পরে আসছি । না কৌতুহল বাড়ানোর জন্য নয় । যথাস্থানে তা প্রয়োগের জন্য। অসুস্থতার কারণে বাবা র শরীর সারাতে চিকিৎসকের পরামর্শে আমরা রাজগীরে একমাসের জন্য ভাড়া ছিলাম। সাময়িক শরীর সারলেও, পরবর্তী কালে তা স্থায়ী না হওয়ার ফলে আমার জীবনের আরো এক গল্প লেখা শুরু হয়েছিল। যাক সে কথা আমি আপাতত এই গল্পেই ফিরি ... রাজগীরের মধ্যের দেখার স্থান ছড়ানো চতুর্দিকে। আর সব থেকে মজার ঘটনা এই যে এখানে পুরাণ আর ইতিহাস জড়াজড়ি করে একাকার । তাই আমাদের গন্তব্যের লিষ্টিতে এই মহাভারতের ভীম তো ওই ইতিহাসের অজাতশত্রু বিম্বিসার সার বেঁধে দাঁড়িয়ে ডাক দিচ্ছেন । এখানের রাস্তার দখল নিয়েছে আধুনিক যানবাহনের সাথে সাথে আগেকার ঘোড়া চালিত টাঙ্গা । 

গোড়া থেকেই শুরু করলে দেখা যাবে যে হোটেলের জনা কয়েকের নিদান বিধান মেনে ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে ঘোরাঘুরি কেটে ঘচাং ফু করে দিলেন সাথের দুই কর্তামশাই। মনটা হু হু করে উঠল। শুনলাম হোটেল থেকে জানা গিয়েছে ঘোড়া নাকি উল্টে যাওয়ার অভিজ্ঞতাযুক্ত। এমন অভিজ্ঞতা কি আমাদের নেই কো ? যে ঘাবড়ে যাব ???? কে তর্ক করবে ?? তর্ক বিদ্যা আয়ত্ত করে খাতায় বেশি নম্বর শুদ্ধ করা আর তার প্রয়োগ করা কি আর এক রে ভাই !!! অগত্যা সকাল সকাল জলখাবার খেয়ে সাজু গুজু করে আমরা হোটেল থেকে বেরিয়ে টোটোগামী হলাম। দরদাম করে উঠে পড়লাম। এবার আমি ভিতরে তাই একই ভাবে সবাই চেপে আটকে গেল। আমার কর্তামশাই নামক গদি গদি ব্যাপারে হেলান বলো ঠ্যাসান বলো দিয়ে আমি ভিতরে গদিওমান হলাম। চলল টোটো !!! কিন্তুক এ কি ??? ঠাণ্ডা হাওয়ার কাঁপন তো হাড়ে মজ্জায় সিধিয়ে যাচ্ছে !!!! আগের দিন কতকের অভিজ্ঞতাকে পাথেয় করে আমরা দুই মোটা মুটি তো গরম বস্ত্র সব হোটেলে রেখে এসেছি। পুপে পরেছে বটে অল্প সল্প !!! দিবা ফ্যামিলি খানিক খানিক সাবধানী হলেও পুরো সাবধান হয়নি !!! এ ব্যাপারে আর মেয়ের ব্যপারে চিন্তিত এদিকের বাবা জেগে উঠলেন .... অতঃপর টোটো পথে ঘুরপাক খেয়ে হোটেল ফেরত এলো আর আমরাও রূপা সহ ঘরে এসে বর্ম এঁটে ঘুরতে বেরিয়ে পড়লাম সত্যি সত্যিই। রকমবেরকমের গরম বস্ত্র না থাকায় রূপার আদর করে দেওয়া শ্রাগ সাদরে গায়ে চাপিয়ে , টুপি তে কান ঢেকে খোলতাই হয়ে টোটোতে চেপে বসলাম। শ্রাগ খান যদি আমার মতন আকার প্রাপ্ত হয় , আমার দোষ নেই কো !!! বারবার সতর্ক করেছিনু !!! কারণ রূপা তণ্বী আমার মতন হস্তিনী নয় একেবারেই। পথে বেরিয়ে খানিক এগোতেই আবার টোটো ডাক তুলে অচল হল। শুনলাম , কিছু নাকি যান্ত্রিক গোলোযোগ দেখা দিয়েছে । একটু পরেই আবার বাহন চালকের কিছু খুটখাটে টোটো সচল হল। 

এরপর একে একে মণিয়ার মঠ , সোনভাণ্ডার , বিম্বিসার জেল , মহাভারত খ্যাত দ্বিতীয় পাণ্ডব ভীম আর জরাসন্ধের মল্লভূমি, শ্রীকৃষ্ণের রথের চাকার দাগ সব দেখতে দেখতে পুরাণ আর ইতিহাসের মাঝে লুকোচুরি খেলতে খেলতে টোটো থেকে নামা আর ওঠার মাঝে দিন চলে যেতে থাকল । মণিয়ার মঠের গল্প ভাল করে না বুঝে সকলে নানান ধারায় ছবি তুলে ফেললাম , রিল এ till now জ্ঞান গম্যি একদম নেই .. .ভাগ্যিস !!! তাই সেদিকে হাঁটলাম না। এমনিতেই জ্ঞান গম্যি কি কমতি ? একবার বড় ক্যামেরা একবার মোবাইল ক্যামেরা ভরতেই দম যাই যাই করছিল !!! আমার বড় ক্যামেরা খান বেশ ওজনদার। যদিও গত ভ্রমণ থেকে পুপে খানিক খানিক ক্যামেরাবাহকের কাজ করে দেয় !!! এক প্রস্থ নিজের , আরেক প্রস্থ ফেসবুক নামক সমাজের জন্য সেবামূলক ছবি তোলার দায়িত্ব কেউ না চাইতেও স্বেচ্ছায় নিয়েছি বলে কথা !!! তবে ???

সোনভাণ্ডার শুনলাম যে , সে নাকি বিম্বিসারের রত্ন ভাণ্ডার !!! গিয়ে অসংখ্য দর্শনার্থীদের সাথে দেখলাম আমাদের অসংখ্য পূর্ব পুরুষ গুহার আগে পিছে , গাছের গাছে দোল খাচ্ছে , বসে আছে !!! সে সব দেখে মল্লভূমি নাম স্বার্থক করে , প্রায় প্রায় যুদ্ধ করে ভিড় ঠেলে উঁচু সিঁড়ি বেয়ে সে সব দেখার পরেই ভোজবাজির মতন ময়দান ফাঁকা হতে দেখে , ইতিউতি তাকিয়ে দেখার চেষ্টা করলাম তার কারণ !!! সুন্দর নিরালা ঝকঝকে দিন আর আমরা ছাড়া আর কিছুর দেখা পেলাম না। বুঝলাম ঝাঁকের কই এর মতন একঝাঁক ভ্রমণার্থি , যারা অধিকাংশ ওদিকেরই গ্রাম গঞ্জের মানুষ, তারা ঝাঁপিয়ে পড়ে ভীম ভবানী ও জরাসন্ধের গল্পের গন্ধে গন্ধেই এই পবিত্র ভূমিতে ঝাঁপিয়ে কাঁপিয়ে ফের অন্য দর্শনীয় স্থানের কাঁপাতে সে দিক পানে চলে গেছে। আমরা নিরালাপ্রিয় কলকাতা বাসী। নিরালার খোঁজে কিছু না পেলে একদা অখ্যাত নিরালা নামক রেস্টুরেন্ট মুখী হতাম গড়িয়াহাটে। কাজেই ওখানকার বেঞ্চি আঁকড়ে খানিক বসে ফের চালু হলাম । পৌঁছলাম সেখানে , যেখানে বেশ খানিক পাহাড়ি পথ জুড়ে রয়েছে শ্রীকৃষ্ণের রথের চাকার দাগ। মা এক অতি প্রচলিত প্রবচন বলতেন সব সময়েই ... "বিশ্বাসে মিলায় বস্তু , তর্কে বহুদূর "। কাজে কাজেই .... দেখার পালা মিটিয়ে আমরা পৌঁছলাম বিম্বিসারের জেল নামক স্থানে। একখান প্রশস্ত ফাঁকা খানিক উঁচু মাঠ , বন্দীশালার কোন চিহ্ন চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হলেও অতীতের সাক্ষ বাহী ইঁটের দর্শন পেলাম , কারণ উঁচু ভিতের ইঁট সেই প্রাচীনতার সাক্ষ্য বহন করছিল । এই বন্দীশালার জানালা দিয়ে বিম্বিসার দর্শন করতেন গৌতম বুদ্ধের নিকটস্থ পর্বত যাত্রাকে। কথিত আছে ওই পাহাড়ের শান্ত নির্জনতায় বুদ্ধদেব পায়ে হেঁটে যেতেন ধ্যান মগ্ন হতে । ওখানেই এখন অবস্থিত শান্তিস্তুপ । যা আমাদের সেদিনের দর্শনের তালিকাভুক্ত করাই ছিল। এসব দেখার পর খানিক এগিয়ে পথের একপাশে টোটো চালক আমাদের নামিয়ে টাঙ্গা ঠিক করে জানিয়ে দিলেন যে , শান্তিস্তুপ ওবধি যাওয়ার আগের কিছু পথ পাড়ি দিতেই আমাদের টাঙ্গার সাওয়ারি হতেই হবে। নিয়ম এখানে তেমনই। এই পথের শেষ মিশেছে আমার সেই স্মৃতি বাহিত দ্বিতীয় আকর্ষণের দুয়ারে। শান্তিস্তুপ উঠতে গেলে ভরসা হাঁটা পথের সাথে এক চেয়ারযুক্ত রোপ-ওয়ে আর নতুন শুরু হওয়া কেবলকার । এই একজন বসার উপযুক্ত চলমান চেয়ার জুড়েই আমার স্মৃতি জড়িত। এই চলমান চেয়ারে বাবার কোলে চড়ে পিছনের দুই চেয়ারে বসা দিদিমা আর মাকে টুকি দিতে দিতে খিলখিলিয়ে হাসতে হাসতে শান্তিস্তুপ দেখতে গিয়েছিলাম।

অনেক কসরতের পর ঘোড়ায় টানা টাঙ্গা চড়ে সকলে চলে এলাম স্মৃতি সরিয়ে বাস্তবের কেবলকারের টিকিট কাউন্টারে। একচেয়ারে যাত্রার সাহস এখন বয়সের সাথে সাথে স্মৃতির তলায় । আর বিগত বছরের কোন এক অ্যাক্সিডেণ্টের কারণে তা এখন আপাতত বন্ধ। নতুন যুক্ত হয়েছে ঘেরাটোপ বন্ধী দরজাযুক্ত উন্নত কেবলকার, যার সাথে বেশ আলাপ পরিচয় হয়েছে আগের বেশ কিছু বেড়ুর সময়। কিন্তুক টুকটাক খাবার খেয়ে কাউন্টারের সামনে এসে জনসমুদ্র দেখে আঁতকে উঠলাম সকলেই। ভাগ্যিস সাথে রূপা ছিল। নাহলে বাকিরা যা ব্যাকগিয়ার দিতে শুরু করেছিল ক্ষিদের দোহাই দিয়ে !!!! শান্তিস্তুপ দেখা ভোগে যেতো ঠিক । আমি আর রূপা আইন মেনে লাইনে সেঁটে গেলাম। পাকাপোক্ত এক ঘন্টা পনেরো মিনিটের অপেক্ষার শেষে মেওয়া থুড়ি টিকিট পেলাম । এবার গেলাম কেবলকার চড়ার আরেক গোলকধাঁধার লাইনে । গোল গোল ঘুরপাক খেতে খেতে এক সময় পাহাড়ের গায়ে আমার সেই ছোটবেলার স্মৃতির থমকানো চলমানচেয়ার কে ঝুলে থাকতে দেখলাম !!! এখন কোনোমতেই ওতে উঠতে পারতাম না , ধরতাম কিনা সেটাও বড় প্রশ্ন 😄 !!!! এরপরের গল্প ঝটপট এগিয়ে গেল পাহাড়ের গা বেয়ে কেবলকার চড়ে , শুধু একখান কেবলকারে সবার হল না । অগত্যা দুই ছানা ও অজানা তিনজনা সহ রূপা এগিয়ে যেতেই পরের কেবলকারে আমরা বাকিরা অচেনা আরো তিন সহ আসীন হয়ে পৌঁছে গেলাম পাহাড়ের ওপরে। দর্শন, প্রদক্ষিণ, ছবি সব মিটিয়ে আসে পাশের অসংখ্য কোপিকুল থেকে সাবধানতা অবলম্বন করে লাইন পেরিয়ে এক কেবলকারে সকলে মিলে হুঁস করে পাহাড়ের পাদদেশে নেমে এলাম।

এরপরে হঠাৎই পেটের খাই খাই রব আমাদের চটজলদি টাঙ্গার দিকে টেনে নিয়ে গেল। তখন দিনের শেষে রোদের তেজ কমিয়ে ঠাণ্ডা তার মাত্রা আরো বাড়িয়ে নিচ্ছিল। হেনকালে টাঙ্গাতে উঠতে গিয়ে আঙুল মটকে নেলপালিশ রাঙানো একখান নখ শহীদ হল সাথে ব্যাথার ঠেলায় একশা। ছোট থেকেই মায়ের থেকে আতুশী শিরনাম ভূষিতা আমি , আবাক হয়ে চুপ করে ব্যথাখান গিলতে গিলতে হোটেল ফেরত এলাম !!! 

বাকিরা ঘরে চলে গেলেও আমরা দুজন রূপা সহ রান্নাঘর মুখী হলাম। আগের দিন হোটেলে ঢুকে পেট পূজোর উপকরণ পেতে বেশ সময় গড়িয়ে গিয়েছিল । তাই এই বেঁধে নিয়ে যাওয়ার তালে আমরা ওদিকে হাজির হয়েছিলাম । কিন্তুক এদের সার্ভিসে হতাশ হয়ে দ্বিতীয় পাণ্ডবের সম পরিমাণের কাছাকাছি খান কতক পদ বেশি বেশি করে ছয়জনার জন্য ওর্ডার করে ঘর মুখী হলাম । সারাদিনের ঘোরার ক্লান্তি তখন শরীর জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে সাথে শরীরের চার্জ নামক খাবার তখনও রান্নাঘরের মধ্যেই নানান রূপে আকার প্রাপ্তির পথে । তাই আমরা আশার আলো জ্বালিয়ে ঘরে নিজেদের ঘসা মাজার করে অপেক্ষার প্রহরে তা দিতে থাকলাম .... 


No comments:

Post a Comment